হ
ধর্মের এমন অভিনব প্রয়োগ আগে কখনও দেখিনি । তোমরা যে ধর্মীয় বাণীর দেয়াল তুলেছো, তা ভেদ করার কোনো কৌশল জানা নেই । আর কত রঙে রাঙাবে ধর্মকে ? আর কতটা ফুলে উঠবে - মৃত লাশের মতো ? যে লাশের জন্য এত আয়োজন, সেটা তো তোমাদেরই হাতে । লাশের ওপর যে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছ, সেই পাথর আজ নিজেই লাশের থেকে হালকা । আহা কত সাজসজ্জা, তোমরা কি দেখেছ এ সময়ের নির্যাস ? তোমরা ছুটে চলেছ এমন কিছুর পেছনে, যার অস্তিত্ব এখনো নেই । নক্ষত্রের দিকে অগ্নিশিখা ছুড়েছো, অথচ সেই নক্ষত্রের তাপেই তোমাদের নীল রক্ত বিবর্ণ হচ্ছে । শহরের নির্মল বাতাসকে তোমরা পশ্চিমমুখী করেছ, আর সূর্যের আলোকে করে তুলেছ চির অনাগত । তোমরা কি পারবে লুকাতে সেই অন্ধকার, যা নিজের হাতেই সৃষ্টি করেছ ? তাঁরা গুলো পারবে কি তোমাদের বিচার এড়াতে ? যেখানে তোমাদের নিঃশ্বাসহীন প্রার্থনা শুধু ধ্বংসের ।
শকুনের চোখের মোহে, কেউ জন্মা নেয়নি রক্তমাখা সঙ্গী হতে । দাবানল থামাতে তোমাদের বৃক্ষ থেমে যাবে, কিন্তু তোমরা কোথায় থামবে ? জানি, থামবে না -- । তোমাদের মৃত্যুই যেন একমাত্র মুক্তির পথ । তবে মুক্তি কি চূড়ান্ত সমাধান ? না, কারণ তোমাদের পোড়ানো ছাই ধ্বংস করবে জগতের প্রতিটি হাইড্রোজেন, তৈরি করবে আগুনে ভরা এক সাগর । যেখানে ঢেউ নয়, উঠে আসবে অগ্নিকুণ্ডলী ।